ডেস্ক রিপোর্ট •
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই তৈমুর ইসলামের অঢেল সম্পদের রহস্য উদঘাটন করেছে দুদক। অনুসন্ধান শেষে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তৈমুরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. শাওন মিয়া।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চাকরি জীবনে ৭৭ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৬ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন তৈমুর ইসলাম। যা তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। এর মধ্যে ২০০২ সালে ডিএমপিতে চাকরি করার সময় সাময়িক বরখাস্ত হন। পরে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করে চাকরি ফিরে পান। এ সময় তিনি অ্যাপার্টমেন্ট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করেন। ২০১৫-১৬ সালে নিজ স্ত্রীকে ৬৫ লাখ টাকা দান করেন তৈমুর।
টুটপাড়া এলাকায় ৩৭ শতাংশ জমির ওপর চারতলা বাড়ি নির্মাণ করে বাবার দান হিসেবে দেখিয়েছেন। অথচ তার মূল্য পরিশোধ করেছেন তৈমুর। ডুমুরিয়ায় ৬২ শতাংশ জমিতে একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। সম্পদ বিবরণীতে ১২ লাখ টাকা ব্যয় দেখালেও আয়কর নথিতে দেখিয়েছেন ২০ লাখ টাকা। ২০১১ সালে ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি গাড়ি কিনেছিলেন। যা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয়ের অর্থ আয়কর নথিতে দেখাননি। ফলে এটিও অবৈধ আয়।
অন্যদিকে ২০১১-১২ সালে দুবার থাইল্যান্ড ভ্রমণে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয় দেখিয়েছেন। এসব খরচের হিসাবও তিনি আয়কর নথিতে দেখাননি। এসব অবৈধ সম্পদ অর্জনের কারণে মানিলন্ডারিং আইনের ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-